নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত তিনজন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন বলে এর আগে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানালেও তারা এখন বলছেন, সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল।
দূতাবাসের অনারারী কনসাল শফিকুর রহমান শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ড. আবদুস সামাদের স্ত্রী জীবিত আছেন এবং নিউজিল্যান্ডে তাদের বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে সামাদের পুত্র তারেক দূতাবাসকে জানিয়েছেন।
“মোট নিহত বাংলাদেশীর সংখ্যা এখন দুইজন” বলেন শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, “নিহতের সংখ্যা নিয়ে কনফিউশন হলেও এটা ভালো দিক যে একজন জীবিত আছেন বলে জানা গেল”।
এর আগে নিহত বাংলাদেশীর সংখ্যা তিনজন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
এর মধ্যে ড. আবদুস সামাদের স্ত্রী, যাকে নিখোঁজ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছিল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে চারটার দিকে।
তবে পরে তার পরিবার দূতাবাসকে জানায় যে, মিসেস সামাদের খোঁজ পাওয়া গেছে এবং তিনি সুস্থ আছেন।
ড. আবদুস সামাদ স্থানীয় লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ছিলেন। এর আগে ড. সামাদ বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন বলে জানান ভুইয়া।
নিহত আরেকজনে পরিচয় সম্পর্কে মি. রহমান বলেন যে, মিসেস হোসনে আরা ফরিদ একজন গৃহবধূ ছিলেন।
মসজিদে হামলার ঘটনায় অন্তত পাঁচজন বাংলাদেশী আহত হয়েছে বলে বাংলাদেশের দূতাবাস এখন পর্যন্ত খবর পেয়েছে।
এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানান রহমান।।
এছাড়া এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে কর্মকর্তারা বলছেন।
আল নূর মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে অনেক মুসলমান জড়ো হয়েছিলেন। এমন সময়ে সেখানে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা ঘটে।
সূত্র, বিবিসি